File:AMBULINGA SHIV TEMPLE IN CHHATRABHOG IN SOUTH 24 PGS W.B. INDIA.jpg
This place is situated in Mathurapur police station in Krishna chandapur Gram Panchayet under Diamond Harbour Subdivision West Bengal India
বর্তমানের মন্দিরের পূর্বে ও এখানে মন্দির ছিল I বর্তমান মন্দির টি মনে করা হয় অষ্টাদশ শতকে বালিয়া রাজা ভারমল্ল প্রেরিত গিরি নামক দশনামী সম্প্রদায় দ্বারা পূর্ববর্তী মন্দিরের ধবংশ স্তুপের উপর নির্মিত । বারে বারে ধবংশ হযেছে এবং পুনরায় নির্মিত হয়েছে । বহুবার সংস্কার হওয়ার ফলে পূর্বের কোনো রূপ কে এখন খুঁজে পাওয়া যায় না । বিশেষজ্ঞদের মতে এটি একটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংস স্তুপের উপর অবস্থিত । এই স্থানের পার্শবর্তী স্থান সমূহ থেকে সপ্তম -অষ্টম শতাব্দীর ভিত ও বহু প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের আবিষ্কার হয়েছে । যার কিছু কিছু এখনো শ্রীযুক্ত দেবীশংকর মিদদ্যা পরিচালিত সরবেরিয়া গ্রামের সুন্দরবন প্রত্ন গবেষণা কেন্দ্রের সংগ্রহশালা তে রক্ষিত আছে । এই শিব লিঙ্গ বহু নামে পরিচিত যেমন বদরিকানাথ ,বুজুরুকীনাথ , বড়াশির শিব এবং অম্বুলিঙ্গ । চতুর্দশ শতকে (১৩০০-১৩৫০) লিখিত কুতুবুদ্দিন মিঞার মুসলমানি কেতাব " গোড়াই গাজীর কেচ্ছা নামক গ্রন্থে অম্বুলিঙ্গ শিবের উল্লেখ পাওয়া যায় l ধর্মপ্রচারক পীর গোরাচাঁদের মৃত্যুবান অম্বুলিঙ্গ শিব হাতিয়া গড়ের রাজা মহিমানন্দের পুত্র অকানন্দকে দিয়েছিলেন । ফল স্বরূপ যুদ্ধে গোড়াই গাজী মারাত্মক আহত হয়ে দে গঙ্গা থানার বালান্দতে পালিয়ে যান এবং মৃত্যুমুখে পতিত হন । ১৪৯৫ সালে রচিত বিপ্রদাস পিপলাইয়ের মনসাবিজয় নামক মঙ্গল কাব্যে এই শিবের পার্শ্ববর্তী পুকুরকে বদরিকাকুন্ড নামে অভিহিত করা হয়েছে শুধু তাই নয় মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান নায়ক চন্দ্রধর রায় যিনি চাঁদ সদাগর নামে সর্বাধিক পরিচিত তিনি বাণিজ্য তরীতে এই বদরিকা কুন্ড থেকে পানীয় জল ভরে নিয়েছেন এই শিবলিঙ্গের (বদরিকানাথ ) নামানুসারে উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত পুষ্করিণী টির নাম হয়েছিল বদরিকা কুন্ড । মন্দিরের উত্তর পূর্ব দিকে রাজার মাযের দাম নামে বাঁশ বাগান ঘেরা অবস্থায় এখনো বিদ্যমান ।
মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেব এই স্থানে এসেছিলেন (১৫১০ ইং) ,তিনি অম্বুলিঙ্গ ঘাটে তুমুল কীর্তন সহযোগে স্নান উৎসবে মেতে উঠেছিলেন তার আগমন কালে ছত্রভোগ থেকে গঙ্গা শত মুখী ধারায় প্রবাহিত ছিল I
কবিকঙ্কন চন্ডীতে (রচনাকাল ১৫৯৫ ইং ) অম্বুলিঙ্গ শিবের উল্লেখ পাওয়া যায়, বণিক ধনপতি সদাগর ও পুত্র শ্ৰীমন্ত সদাগর পৃথক পৃথক ভাবে এই স্থানে এসেছিলেন অপর এক মঙ্গলকাব্য কবি কৃষ্ণরাম দাসের রায়মঙ্গল (রচনাকাল ১৬৮১ ইং) কাব্যে অম্বুলিঙ্গ শিবের স্থান কে "মহাস্থান " বলে উল্লেখ পাওয়া যায় ।
অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে (খুব সম্ভব ১৭৪২ সালের নিকটবর্তী) এইখানে বাংলার নবাব আলীবর্দী খান শিবের মাহাত্ম্য কে কঠোর ভাবে যাচাই করেছিলেন তিনি গাজন উৎসবের সময়ে গাজন সন্নাসীদেরকে বটির পরিবর্তে তাঁর সৈন্য দের ব্যবহৃত ধারালো বর্শার উপর ঝাঁপ দেওয়ার আদেশ দেন ব্রতধারী প্রধান সন্ন্যাসী শিবের নামে ঝাঁপ দিয়ে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল খুশি হয়ে আলীবর্দী খান ৫৫০ বিঘা জমি দেবোত্তর রূপে দান করেছিলেন জমি দানের ফার্সি ভাষায় লেখা দানপত্র আলিপুর কোর্টের মহাফেজ খানায় রক্ষিত ছিল বলে শোনা যায় ।